ঢাকা, সোমবার ১৪, এপ্রিল ২০২৫ ১৫:৩৫:৪২ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
উৎসবের আমেজে শেষ হলো ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ ১৪ ঘণ্টা পর উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ঢাকার রেলরুট সচল জাতীয় সংগীতের মধ্যদিয়ে শেষ হলো বটমূলের বর্ষবরণ বর্ষবরণে ঢাবি এলাকায় উৎসবের ঢেউ, বর্ণিল শোভাযাত্রা শুরু রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান শুরু আজ পহেলা বৈশাখ, স্বাগত ১৪৩২

চন্দ্রঘোনায় সাড়া জাগিয়েছে বেগুনি রঙের ধান চাষ 

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:৫৪ এএম, ৯ নভেম্বর ২০২৪ শনিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

কাপ্তাইয়ের চন্দ্রঘোনায় বেগুনি ধান (পার্পল রাইস) চাষ করে এলাকায় সাড়া ফেলে দিয়েছেন কৃষক বাপ্পি তঞ্চঙ্গ্যা। সবুজ মাঠে প্রথমবারের মতো বেগুনি রঙের ধান দেখে স্থানীয়দের তো চোখ ছানাবড়া। নজরকাড়া এই বেগুনি ধান চাষ করা হয়েছে উপজেলার চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের রেশম বাগান এলাকায়। গ্রামবাসী তো বটেই, দূরদূরান্ত থেকেও প্রতিদিন মানুষ এ ধানের ক্ষেত দেখতে আসছেন। অনেকে এই ধান নিজের এলাকায় চাষ করার আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
জানা যায়, বেগুনি ধানের ফলন শতকপ্রতি ২০ কেজির মতো হয়, হেক্টরে ৪-৫ মণ। অনেক বেশি প্রতিকূল পরিবেশে এই ধান টিকে থাকতে পারে। রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হয়।
কাপ্তাই উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বেগুনি রঙের ধান পার্পল রাইস নামে পরিচিতি। চীন দেশে এই ধান উদ্ভাবিত হয়েছে। বাংলাদেশে সরকারি উদ্যোগে এই ধানের চাষ এখনও শুরু হয়নি। তবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কৃষকরা নিজ উদ্যোগে এই ধানের চাষ করছেন। সেই ধারাবাহিকতায় কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা রেশম বাগান ব্লকে কৃষক বাপ্পি তঞ্চঙ্গ্যা বেগুনি ধান চাষ শুরু করেছেন। 
জানতে চাইলে কৃষক বাপ্পি তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, ‘বিলাইছড়ি উপজেলার কয়েকজন কৃষক এই বেগুনি ধান চাষ করেছেন বলে শুনি। খোঁজ নিয়ে সেখান থেকে বেগুনি ধানের চারা এনে চাষাবাদ করছি। কৃষি বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা ও সহযোগিতা করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বেগুনি রঙের এই নতুন ধানের চাষ এলাকায় বেশ সাড়া জাগিয়েছে। ফলন ভালো হলে আগামী মৌসুমে আরও বেশি জমিতে চাষ করব। এই ধানের প্রতি স্থানীয় অনেকের আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। তারাও আমার চাষের জমির ফলন দেখার অপেক্ষায় আছেন।’
কাপ্তাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. ইমরান আহমেদ জানান, বেগুনি রঙের ধান বা পার্পল রাইস আসলে আউশ মৌসুমের ধান। আমাদের দেশের সাধারণ ধানের তুলনায় অনেক বেশি প্রতিকূল পরিবেশে এই ধান টিকে থাকতে পারে। রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম। আয়ুষ্কাল প্রায় ১৫০ দিনের কাছাকাছি। 
তিনি ধানের চাষ সম্পর্কে বলেন, প্রথমে বীজতলায় চারা তৈরি ও পরবর্তীতে মূল জমিতে চারা রোপণ করা হয়। ফলন শতক প্রতি ২০ কেজির মতো। হেক্টরপ্রতি ৪-৫ মণ ধান উৎপাদিত হয়। আমাদের দেশে প্রচলিত আউশের অন্য জাতগুলোর তুলনায় বেগুনি ধানের ফলন বেশি হয়। এ ধানের পাতা, কাণ্ড এবং চালের রং বেগুনি হওয়ায় এটি পার্পল রাইস হিসেবে পরিচিতি।